সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ [২০২১]
এক সময় মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের কাজেই ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এটি দিয়ে খুব সহজেই অনেক কাজই সেরে নেয়া যায়।
যেমন ধরুন আগে ফটো এডিটিং এর মতো কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই কম্পিউটারের প্রয়োজন হতো, কিন্তু বর্তমানে এই কাজটি হাতের কাছে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করেই করা সম্ভব।
তো স্মার্টফোনে ফটো এডিটিং এর জন্য প্রয়োজন একটি ভালো ফিচার সম্বলিত ফটো এডিটিং অ্যাপ। বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে নানান ধরনের ফিচার সম্বলিত ফটো এডিটর রয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কোনটি সেরা এবং কোনটিতে সবচেয়ে ভালো ফিচারস রয়েছে? তাই আজকের পোস্টে প্লে-স্টোর হতে বাছাইকৃত ২০২১ সালের সেরা ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
আরও পড়ুনঃ-
- সেরা ৫ ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপ
- সেরা ১২ অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটর
- সেরা ১০ ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড এন্টিভাইরাস
- সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড ভিপিএন অ্যাপ
সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ
1. Photoshop Express
Photoshop Express অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটর। বেস্ট ফটো এডিটর অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই ফটোশপ এক্সপ্রেস।
ফটোশপ এক্সপ্রেস অ্যাপটি তৈরি করেছে জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডোব। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর হতে এই পর্যন্ত ১০০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
এতে ফটো এডিটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল ফিচারসই প্যাক করা হয়েছে। যেমনঃ ফটো ক্রপিং, ফ্লিপং, রোটেটিং ইত্যাদি।
এছাড়াও ফটোশোপ এক্সপ্রেসে রয়েছে ওয়ান টাচ ফিল্টারিং, বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট, অটো ফিক্সিং, ফটো রেন্ডারিং সহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার।
অ্যাডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস অ্যাপটির রয়েছে খুবই সহজ এবং সুন্দর একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর হতে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।
তাছাড়া অ্যাপটির সম্পূর্ণ অ্যাড ফ্রী ইউজার ইন্টারফেসও রয়েছে। যার ফলে আপনাকে বিরক্তিকর অ্যাডের মুখোমুখি হতে হবে না।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অ্যাপটিতে থাকছে ৮০ প্লাস ফিল্টারস
- রেস্পেক্টিভ কারেকশন সমর্থিত
- শক্তিশালী ফটো রেন্ডারিং ইঞ্জিন
- RAW ফর্মেট সমর্থিত
2. Snapseed
আজকের লিস্টে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে Snapseed। এটি গুগলের তৈরি একটি অসাধারণ ফটো এডিটর অ্যাপ।
এই অ্যাপটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এর দারুন সব ফটো ফিল্টারসের জন্য। প্লে স্টোরে অ্যাপটির ১০০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড রয়েছে।
স্ন্যাপসিডে রয়েছে ২৯টির মতো শক্তিশালী টুলস, যেগুলোর সাহায্যে আপনি আপনার ছবিকে আরো প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় করতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যে।
এই অ্যাপটির খুবই সুন্দর একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস রয়েছে, যা নিশ্চয়ই আপনার কাজকে আরো সহজ করে দিবে।
স্ন্যাপসিডে ফটো ক্রপিং, ফ্লিপং, হিলিং ব্রাশ, ভিগনিটি, গ্ল্যামার গ্লো, ফটো রোটেটিং, পোর্টরেটের মতো সকল প্রয়োজনীয় ফিচারসই রয়েছে।
অ্যাপটির সাহায্যে আপনি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আপনার ফটোগুলোকে এডিট করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর হতে অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।
ফটোশপ এক্সপ্রেসের মতো এই অ্যাপটির অ্যাড ফ্রী ইউজার ইন্টারফেস থাকায় আপনাকে বিরক্তিকর অ্যাডের সম্মুখীন হতে হবে না।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- ছবির বিশেষ অংশে ইফেক্ট প্রয়োগ করার জন্য রয়েছে ব্রাশ মোড
- নেটিভ ডার্ক থিম মোড সমর্থিত
- RAW ফর্মেট সমর্থিত
3. PicsArt Studio
লিস্টে থাকা আরেকটি সেরা ফটো এডিটর অ্যাপ হলো PicsArt Studio। ছবিকে নিখুঁতভাবে কাস্টমাইজ করতে যে ধরনের টুলস ও ফিচারসের প্রয়োজন তার সবই এতে প্যাক করা হয়েছে।
পিক্স আর্ট স্টুডিওতে রয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি টুলস। প্লে স্টোর হতে এই পর্যন্ত অ্যাপটি ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
অ্যাপটিতে থাকছে ওয়ান টাচ ইফেক্ট, অটো ফিক্সিং, ক্রপ, কোলাজ, ড্র, ফ্রেম, স্টিকারের মতো ফিচার। থাকছে বিল্ট-ইন ক্যামেরা এবং ডিরেক্ট সোশ্যাল শেয়ারিংয়ের সুবিধা।
পিক্স আর্ট স্টুডিওতে আরো থাকছে অসাধারন সব ফটো ফিল্টারসের কালেকশন, যেগুলো আপনার ফটোতে ইউনিক টাচ দিতে সক্ষম। ফটো এডিটিং ছাড়াও এতে থাকা ড্রয়িং মোডও অনেক ফিচারফুল।
অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর হতে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। তবে পিক্স আর্টের ফ্রি সংস্করণে অ্যাড ফ্রি ইউজার ইন্টারফেস নেই।
ফলে আপনাকে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে হবে। তবে, পিক্স আর্ট সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপসগুলোর মধ্যে যে একটি তা নিসন্দেহে বলা যায়।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- এতে ছবির বিশেষ অংশে ইফেক্ট প্রয়োগ করার জন্য রয়েছে ব্রাশ মোড
- থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইফেক্ট যার সাহায্যে ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করা সম্ভব
- লাইভ ইফেক্টের সাথে বিল্ট-ইন ক্যামেরা সমর্থিত
4. Fotor
আজকের লিস্টে থাকা সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই Fotor। অ্যাপটির গুগল প্লে স্টোরে ১০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড রয়েছে।
ছবিকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলার জন্য অ্যাপটিতে রয়েছে চমৎকার সব ফিল্টারস এবং ফটো ইফেক্টস। এর ইউজার ইন্টারফেসও সহজ।
ফোটরে প্রায় ৩০০ টিরও বেশি ইফেক্ট রয়েছে, যার সাহায্যে নিমিষেই ছবিকে আরো আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করা যাবে।
ছবির উজ্জ্বলতা, এক্সপোজার, কালার সহ অন্যান্য দিকগুলো টুইকিং করার জন্য অ্যাপটিতে আপনি ১০ টিরও বেশি কাস্টমাইজযোগ্য টুলস ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ফটো এডিটিং অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রী। তবে এতে অ্যাড ফ্রী ইউজার ইন্টারফেস নেই।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- ফোটর সেরা ফটো এডিটরের পাশাপাশি ফটো লাইসেন্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও পরিচিত
- ছবিকে নিমিষেই আকর্ষণীয় করে তুলতে রয়েছে ৩০০+ ইফেক্ট
- কুইক ‘এনহান্সমেন্ট’ সমর্থিত
5. Photo Director
Photo Director হলো একটি মাল্টিপারপাস ফটো এডিটর। এটি শক্তিশালী টুলস সম্বলিত একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ।
প্লে স্টোর হতে অ্যাপটি এই পর্যন্ত ৫০ মিলিয়নেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। ফটো ডিরেক্টরের রয়েছে একটি স্টাইলিশ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস।
ফটো রিটাচ, ফটো এফএক্স সহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী টুলস এতে প্যাক করা হয়েছে, যা এই অ্যাপটিকে অনেকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
এছাড়াও অ্যাপটিতে রয়েছে বিল্ট-ইন ক্যামেরা এবং ডিরেক্ট সোশ্যাল শেয়ারিং ফিচার। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি ফটো এডিটিং অ্যাপ। তবে এতে অ্যাড ফ্রী ইউজার ইন্টারফেস নেই।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- লাইভ ইফেক্টের সাথে বিল্ট-ইন ক্যামেরা সমর্থিত
- ছবির নির্দিষ্ট অংশে ইফেক্ট প্রয়োগ করার জন্য রয়েছে এফএক্স ফিচার
- ফটো হতে অবাঞ্ছিত বস্তু অপসারণের জন্য থাকছে "কনটেন্ট-এওয়্যার" টুল
6. AirBrush
আজকের লিস্টে থাকা আরেকটি বেস্ট ফটো এডিটর এবং একই সাথে সেলফি এডিটর হলো AirBrush। এই অ্যাপটি ব্যবহার করা খুবই সহজ।
ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসের সাথে এয়ার ব্রাশের রয়েছে অনেকগুলো ইউসফুল টুলস এবং ফিল্টারস, যার ফলে এটি অনেকের কাছে পছন্দের একটি অ্যাপ।
এতে ব্লেমিশ রিমুভার, পিম্পল রিমুভার, হোয়াইটেন টিথ, বডি স্লিমার, আর্টিস্টিক রিটাচের মতো টুলসগুলো রয়েছে।
অ্যাপটিতে বিল্ট-ইন ক্যামেরা ফিচারও রয়েছে এবং এটি ডিরেক্ট সোশ্যাল শেয়ারিং সমর্থিত। অর্থাৎ ফটো এডিটিং করার পর তা সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা যাবে।
প্লে স্টোরে অ্যাপটির ভালো রেটিং সহ ১০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড রয়েছে। গুগল প্লে স্টোর হতে অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অ্যাপটিতে থাকছে চমৎকার ব্লেমিশ এবং পিম্পল রিমুভার টুলস
- লাইভ ইফেক্টের সাথে বিল্ট-ইন ক্যামেরা সমর্থিত
- ন্যাচারাল রেডিয়েন্ট ফিল্টার সমর্থিত
7. Toolwiz Photos - Pro Editor
Toolwiz Photos প্রোফেশনাল লেভেলের একটি অসাধারণ ফটো এডিটিং অ্যাপ। এই অ্যাপটিকে মোবাইলে ফটো এডিট করার জন্য একের-ভিতর-সব ফটো এডিটিং অ্যাপ বলা চলে।
কেননা এতে আপনি পাবেন ২০০+ ফটো এডিটিং টুুুলস, যেগুলোর সাহায্যে পছন্দের ফটোকে খুব সহজেই মনের মতো করে ফুটিয়ে তোলা যাবে।
টুলওয়িজ ফটোসের একটি সহজ সাবলীল ইউজার ইন্টারফেস থাকায় এটি ব্যবহার করাও তুলনামূলকভাবে সহজ। প্লে স্টোরে এই অ্যাপটির ১০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড রয়েছে।
এই ফটো এডিটরের সাহায্যে আপনি আপনার ফটোতে নানা ধরনের ফিল্টার যোগ করতে পারবেন, সেচুরেশন এডজাস্ট করতে পারবেন, সেইসাথে ফটো কোলাজও তৈরি করতে পারবেন।
এগুলো এছাড়াও টুলওয়িজে আরো নানা ধরনের ফিচারস রয়েছে। গুগল প্লে স্টোর হতে এই অ্যাপটি আপনি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।
সহজ ইউজার ইন্টারফেস, শক্তিশালী টুলস ও ফিচারস থাকায় নিঃসন্দেহে টুলওয়িজকে একটি সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ বলা যায়।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অ্যাপটিতে রয়েছে চমৎকার স্কিন পলিশিং টুলস
- থাকছে দারুন সব ফিল্টারসের কালেকশন
- শ্যাডো এবং মাস্কের সাথে রয়েছে ২০০+ টেক্সট ফন্টস
8. Pixlr
অটোডেস্কের তৈরি Pixlr একটি চমৎকার ফ্রি ফটো এডিটর। পিক্সলারে রয়েছে প্রায় ৩ মিলিয়নেরও বেশি ইফেক্ট, ওভারলে এবং ফিল্টারস।
এতে পিকসলেট নামক একটি টুলস রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি খুব সহজেই ছবির যে কোন অংশ হতে ব্লার আউট করতে পারবেন।
এছাড়াও পিক্সলার দিয়ে বিভিন্ন লেআউটের সাথে ফটো কোলাজ করা যাবে। এই অ্যাপ দ্বারা একসাথে ২৫ টিরও বেশি ফটো একসাথে কোলাজ করা সম্ভব।
পিক্সলারে অটো ফিক্সের মতো ফিচার থাকায় খুব সহজে এক ক্লিকেই ছবির কালার ও লাইট এডজাস্ট করা যাবে। এগুলো ছাড়াও এতে আরো অনেক ধরনের ফিচারসই রয়েছে।
গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটির ৫০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড রয়েছে। অ্যাপটি বিনামূল্যেই ডাউনলোড করতে পারবেন।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অ্যাপটিতে থাকছে একটি শক্তিশালী অন টাচ 'এনহান্সমেন্ট' টুল
- অটো ফিক্সিং সমর্থিত
- অসাধারণ কোলাজ মেকার অ্যাপ
9. YouCam Perfect
YouCam Perfect অ্যান্ড্রয়েডে সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি ফটো এডিটিং টুলস। সেইসাথে ইউক্যাম পারফেক্টকে বেস্ট সেলফি এডিটরও বলা হয়ে থাকে।
এটি খুবই জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ। গুগল প্লে স্টোরে ইউক্যাম পারফেক্টের ১০০ মিলিয়ন প্লাস ডাউনলোড রয়েছে।
এই অ্যাপটির সাহায্যে আপনি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার পছন্দের ফটোতে ইন্সট্যান্টলি ইউনিক টাচ দিতে পারবেন।
অ্যাপটিতে থাকা বিল্ট-ইন ক্যামেরা ফিচারের সাহায্যে সেলফি তুলার পাশাপাশি ভিডিও সেলফিও তুলতে পারবেন।
এক কথায় একটি ফটোকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে যে ধরনের টুলস থাকা প্রয়োজন তার সবই এতে প্যাক করা হয়েছে।
আপনি যদি সেলফি তুলতে ভালোবাসেন তাহলে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- গ্রুপ সেলফি তুলার ক্ষেত্রে রয়েছে মাল্টিপল ফেস ডিটেকশন ফিচার
- ফটো হতে অবাঞ্ছিত বস্তু অপসারণের জন্য রয়েছে কাটআউট এবং রিমুভাল টুলস
- ইনস্ট্যান্ট 'এনহান্সমেন্ট' সমর্থিত
10. Photo Lab
আজকের লিস্টে থাকা আরেকটি বেস্ট ফটো এডিটর হলো Photo Lab। এই অ্যাপটির সাহায্যে যে ছবিতে ইউনিক টাচ দেওয়া সম্ভব তা বলার অবকাশ রাখে না।
ফটো ল্যাবে রয়েছে ৯০০+ ইফেক্ট, যেগুলোর সাহায্যে আপনার ফটোকে অসাধারন সব লুক দেওয়া সম্ভব। এতে ফটো ক্রপিং, ফ্লিপং, রোটেটিং, হিলিং সহ সকল টুলসই রয়েছে।
অ্যাপটিতে ফটো এডিট করার পর আপনি চাইলে তা সরাসরি গ্যালারিতে সেভ করতে পারবেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন।
গুগল প্লে স্টোর এই অ্যাপটির একটি ফ্রি সংস্করণ রয়েছে। তবে অ্যাপটির একটি নেগেটিভ দিক হচ্ছে এতে ফটো এডিট করার পর ফটোতে ওয়াটারমার্ক থেকে যায়। তাছাড়া অ্যাপটিতে অ্যাড ফ্রি ইউজার ইন্টারফেসও নেই।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অ্যাপটিতে থাকছে ৯০০+ ইফেক্ট
- ওয়ান টাচ ফটো এডিট সমর্থিত
- থাকছে অ্যাডভান্স ফেস ডিটেকশন আলগোরিদিম
এই ছিলো ২০২১ সালের সেরা ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ। উপরের বাছাইকৃত অ্যাপগুলোর মধ্যে থেকে আপনি আপনার পছন্দমতো যে কোনটি ডাউনলোড করতে পারেন এবং আপনার পছন্দের ছবিগুলোকে করে তুলতে পারেন আরও আকর্ষণীয় এবং প্রাণবন্ত।
No comments