সেরা ১২ ভিডিও এডিটর অ্যাপ [২০২১]
এক সময় ভিডিও এডিটিং এর কথা ভাবলেই মনে হতো এই কাজটি বোধ হয় কম্পিউটার ছাড়া করা সম্ভব নয়। কিন্তু স্মার্টফোন আসার পর থেকে এই ধারণাটি পুরোপুরি বদলে গেছে।
বর্তমানে কম্পিউটারের জন্য যেমন প্রচুর সংখ্যক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে ঠিক তেমনি গুগল প্লে স্টোরে অ্যান্ড্রয়েডের জন্যও ভিডিও এডিটর অ্যাপ এর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
এই অ্যাপগুলো কাজের দিক দিয়ে যেমন অনন্য তেমনি এগুলোতে রয়েছে অসাধারণ সব ফিচার। গুগল প্লে স্টোরে থাকা এই ধরনের ভিডিও এডিটর অ্যাপ দ্বারা খুব সহজেই বেসিক মানের ভিডিও এডিট করা যায়।
কিছু ক্ষেত্রে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটও করা সম্ভব। এই ভিডিও এডিটর অ্যাপগুলোর সাহায্যে আপনি আপনার ভিডিওগুলো সহজেই এডিট করতে পারবেন এবং তা ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার বা ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেলে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর জন্য প্লে স্টোর হতে বাছাইকৃত ২০২১ সালের সেরা ১২টি অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটর অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ-
- সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ
- সেরা ১০ ফ্রি অ্যান্ড্রয়েড এন্টিভাইরাস
- সেরা ১০ ভিডিও এডিটর [পিসি]
- সেরা ১৫ অ্যান্ড্রয়েড লাইট অ্যাপস
সেরা ১২ অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটর অ্যাপ ২০২১
1. FilmoraGo
FilmoraGo একটি অসাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটর যা অনেক ব্যবহারকারীরই প্রথম পছন্দ।
অ্যাপটিতে থাকা ভিডিও ট্রিমিং, ভিডিও কাটিং, থিম, মিউজিক ইত্যাদি সকল প্রাথমিক ফাংশন ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ভিডিও এডিট করা করতে পারবেন।
এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন অনুপাতে ভিডিও এডিট করতে পারবেন। যেমন ইন্সট্যাগ্রামের জন্য ১:১ অনুপাতের, ইউটিউবের জন্য ১৬:৯ অনুপাতের ভিডিও এডিট করা যাবে।
এছাড়া আপনি ট্রানজিশন, স্লো মোশন, টেক্সট ব্যবহার করে ভিডিওকে আরো আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত করতে পারবেন।
অ্যাপটি ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করার পর আপনি চাইলে তা গ্যালারিতে সেভ করতে পারবেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি শেয়ার করতে পারবেন।
গুগল প্লে স্টোর হতে ফিল্মোরা গো বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপটির ফ্রী ভার্সনেই সকল প্রয়োজনীয় ফিচারই রয়েছে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.৩ থেকে পরবর্তী সকল ভার্সনই সাপোর্ট করে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অসাধারণ সব টেমপ্লেট এবং ইফেক্ট এর লাইব্রেরি
- প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং টুলস ইনক্লুডেড
- রিয়েল টাইম প্রিভিউ সমর্থিত
- ডিরেক্টট সোশ্যাল শেয়ারিং সমর্থিত
2. PowerDirector
PowerDirector একটি ফুলি ফিচার্ড অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যার সহজেই ব্যবহারযোগ্য একটি টাইমলাইন ইন্টারফেস রয়েছে।
অ্যাপটি ব্যবহার করা অনেক সহজ। কিন্ত কিছু ক্ষেত্রে অ্যাপটি কন্ট্রোল করা শিখতে আপনাকে সময় দিতে হতে পারে।
তবে একবার অ্যাপটি ব্যবহার করাতে এক্সপার্ট হয়ে গেলে, আপনি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইফেক্ট রিচ এবং প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন এবং তা ইউটিউবের মতো ভিডিও শেয়ারিং সাইটে আপলোড করতে পারবেন।
এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপে ৩০ টিরও বেশি ইফেক্ট রয়েছে যেগুলো ভিডিওতে খুব সহজেই ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটি ব্যবহার করে গ্রীন স্ক্রীন ভিডিও তৈরি করাও সম্ভব। এছাড়াও এটি দিয়ে আপনি টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
PowerDirector ফ্রী ভার্সনে প্রায় সমস্ত প্রয়োজনীয় ফিচারও রয়েছে। তবে একবার প্রো ভার্সনে আপগ্রেড করে নিলে বাড়তি অনেকগুলো বেনিফিট পাওয়া যাবে।
যেমন ধরুন ওয়াটার মার্ক এবং অ্যাড রিমুভ করা যাবে,1080P এবং 4K রেজুলেশনে ভিডিও এক্সট্রাক্ট করা যাবে ইত্যাদি। এটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.৫ থেকে পরবর্তী সকল ভার্সনই সমর্থন করে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- 4K রেজুলেশনে ভিডিও এক্সপোর্ট সমর্থিত
- স্লো মোশন ভিডিও এডিটিং ক্যাপাবিলিটি
- 'Chroma' কী সিলেক্টর সমর্থিত
3. KineMaster
ভালো ইউজার ইন্টারফেস এবং ফিচার সমৃদ্ধ অ্যান্ড্রয়েডের জন্য একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হলো KineMaster।
এটি খুবই শক্তিশালী একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। অ্যাপটিতে থাকা ড্র্যাগ-এন-ড্রপ ফিচার ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি বিভিন্ন মিডিয়া ফাইল ইমপোর্ট করতে পারবেন।
অ্যাপটি ব্যবহার করা অনেক সহজ এবং এটি দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি প্রফেশনাল মানের ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। এর ফ্রী ভার্সনে ভিডিও এডিট করার জন্য প্রায় সমস্ত প্রয়োজনীয় ফিচারই রয়েছে।
তবে ভিডিও হতে ওয়াটারমার্ক রিমুভ করতে এবং প্রিমিয়াম ফিচারগুলোতে অ্যাক্সেস করতে আপনাকে অবশ্যই এর প্রিমিয়াম ভার্সনটি কিনতে হবে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- মিডিয়া ফাইল ইমপোর্ট করতে রয়েছে ড্র্যাগ-এন-ড্রপ ফিচার
- মাল্টিপল লেয়ার ব্যবহারের সুবিধা
- রিয়েল টাইম প্রিভিউ সমর্থিত
4. ActionDirector
আজকের লিস্টের চতুর্থ অবস্থানে আছে ActionDirector। এটি বেশ জনপ্রিয় একটি ভিডিও এডিটর। এটি ব্যবহার করে খুব সহজে এবং দ্রুত ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব।
অ্যাপটিতে থাকা ভিডিও ট্রিমিং, ভিডিও কাটিং, থিম, মিউজিক, ফিল্টার, ইফেক্ট, ট্রানজিশন ব্যবহার করে অসাধারণ সব ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
4K সাপোর্ট করে এমন ভিডিও এডিটর অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এই ActionDirector। অ্যাপটিতে প্রয়োজনীয় ফাংশনগুলোর পাশাপাশি স্পিড এডিট, ভিডিও স্ট্যাবিলাইজার, স্লো মোশন, ফাস্ট মোশন, ভিডিও হাইলাইটিং সহ বেশ কিছু ফাংশন রয়েছে।
গুগল প্লে স্টোর হতে এটি বিনামূল্যে ডউনলোড করা যাবে। এই অ্যাপটির একটি ভালো দিক হলো যে এটি ডেভলপার কর্তৃক খুব ঘন ঘন আপডেট পায়। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.৩ থেকে পরবর্তী সকল ভার্সনই সমর্থন করে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- 4K সমর্থিত ভিডিও এডিটিং অ্যাপ
- কালার, ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট, স্যাচুরেশন এডজাস্টমেন্টের সুবিধা
- থাকছে এক ডজনেরও বেশি ট্রানজিশন
5. Adobe Premiere Clip
এই লিস্টে থাকা আরেকটি অসাধারণ ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হলো Adobe Premiere Clip। অ্যাডোব ২০১৫ সালে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য এই অ্যাপটি বাজারে ছাড়ে।
অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি খুব দ্রুত ভিডিও এডিট করতে পারবেন। সেই সাথে অ্যাপটি ব্যবহার করাও অনেক সহজ।
এতে থাকা ফিচারগুলোর মধ্যে একটি বেস্ট ফিচার হলো অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি। অর্থাৎ আপনি ফটো বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করে দিলে অ্যাপটি অটোমেটিক্যালি আপনার জন্য ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম।
তাছাড়া আপনি অ্যাপটিতে থাকা ভিডিও ট্রিমিং, ভিডিও কাটিং, থিম, মিউজিক, ফিল্টার, ইফেক্ট, ট্রানজিশন ব্যবহার করে আপনার ভিডিওকে আরো আকর্ষণীয় ও সুন্দর করতে পারবেন।
Adobe Premiere Clip-এ ভিডিও এডিট করার পর আপনি চাইলে তা গ্যালারিতে সেভ করতে পারবেন অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি শেয়ার করতে পারবেন।
অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রি। গুগল প্লে স্টোর হতে এটি ডাউনলোড করা যাবে। তাছাড়া অ্যাড-ফ্রি ইউজার ইন্টারফেস থাকায় আপনাকে কোন বিরক্তিকর অ্যাডের মুখোমুখিও হতে হবে না।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অটো অডিও মিক্স ফিচার
- অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি
- ভিডিও অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো সিসিতে এক্সপোর্ট করার সুবিধা
6. VideoShow
VideoShow রিলিজ হওয়ার পর অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার জিতেছে এবং নিঃসন্দেহে এটি প্লে স্টোরে থাকা ফ্রিতে উপলব্ধ অ্যান্ড্রয়েডের জন্য সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি।
অ্যাপটিতে থাকা প্রয়োজনীয় ফাংশনগুলোর পাশাপাশি আপনি টেক্সট, ইফেক্ট, মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট বা লাইভ ডাবিং যোগ করে আপনি আপনার ভিডিওটিকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে পারেন।
এতে ৫০ টিরও অধিক থিম রয়েছে। এছাড়া আপনি অ্যাপটি ব্যবহার করে ভিডিও এর কোয়ালিটি ঠিক রেখে ভিডিও এর সাইজও কমাতে পারবেন।
অ্যাপটির একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস রয়েছে এবং অ্যাপটি ব্যবহার করাও সহজ। VideoShow-কে ফিল্মোরা গোর বেস্ট আল্টারনেটিভ বলা যায়, যা প্রায় সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনই সমর্থন করে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- ব্লারড ব্যাকগ্রাউন্ড, অডিও স্পিড এডজাস্টমেন্ট, ভয়েস এনহান্সমেন্ট ফিচার সমর্থিত
- ভিডিও বা স্লাইডশো আকর্ষণীয় করতে রয়েছে ৫০+ থিম
- থাকছে ভিডিও এর সাউন্ড ট্র্যাক mp3 তে রুপান্তর করার সুবিধা
7. Quik
Quik একটি অসাধারণ ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। একে একটি নির্ভরযোগ্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপও বলা যেতে পারে। কেননা এটি ফাস্ট, ব্যবহার করা সহজ এবং অবশ্যই এটি ফ্রী।
এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপের একটি সিম্পল ইউজার ইন্টারফেস রয়েছে এবং অ্যাপটি দিয়ে ভিডিও এডিট করার সময় ৫০ টিরও অধিক ভিডিও এবং ফটো একসাথে এড করার সুবিধা রয়েছে।
অ্যাডোব প্রিমিয়ার ক্লিপের মতো কুইকের অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি রয়েছে। অর্থাৎ আপনি ফটো বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করে দিলে অ্যাপটি অটোমেটিক্যালি আপনার জন্য ভিডিও তৈরি করে দিবে।
ভিডিও এডিট করার জন্য প্রায় সকল ফিচারই এতে প্যাক করা হয়েছে। আপনি যদি সিম্পল ইউজার ইন্টারফেস সমৃদ্ধ কোন ভিডিও এডিটর খুঁজে থাকেন তাহলে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি
- থাকছে 60fps এ ভিডিও সেভ করার সুবিধা
- ডিরেক্টট সোশ্যাল শেয়ারিং সমর্থিত
8. VivaVideo
VivaVideo অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। অ্যাপটিতে রয়েছে দারুণ সব ফিচার, যা আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে।
অ্যাপটিকে এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে খুব সহজেই ব্যবহারকারীগণ প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে পারেন।
এটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য শর্ট ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। বিশ্বব্যাপী এর ২০০ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার রয়েছে।
অ্যাপটিতে কয়েক শত ইফেক্ট এবং ফিল্টার আছে যা ব্যবহার করে ভিডিওকে করা যাবে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
VivaVideo এর একটি ফ্রী ভার্সন প্লে স্টোরে রয়েছে। তবে এতে ওয়াটারমার্ক ও টাইম লিমিটের মতো কিছু লিমিটেশন রয়েছে। তাই প্রিমিয়াম ফিচারগুলোতে অ্যাক্সেস করতে আপনাকে অবশ্যই প্রো ভার্সনটি কিনতে হবে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- বিল্ট-ইন স্লো মোশন ভিডিও মেকিং ক্যাপাবিলিটি
- ২০০+ ইফেক্ট এবং ফিল্টার এর কালেকশন
- থাকছে কোলাজ ভিডিও তৈরি করার সুবিধা
9. FuniMate
FuniMate ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ফানি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। অ্যাপটিতে ১০০ টিরও বেশি অ্যাডভান্স ইফেক্ট রয়েছে।
এটি তেমন শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং অ্যাপ না হলেও আপনি অ্যাপটির সাহায্যে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য অসাধারণ সব শর্ট ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
এটি শর্ট ভিডিও তৈরি করার জন্য আদর্শ একটি অ্যাপ। অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে সাইন ইন করতে হবে। এরপর আপনি এটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
এটি সম্পূর্ণ ফ্রি একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। তবে এতে অ্যাড ফ্রী ইউজার ইন্টারফেস না থাকায় আপনি বিরক্তিকর অ্যাডের সম্মুখীন হতে পারেন।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- ডেডিকেটেড ফানিমেট ভিডিও কমিউনিটি
- থাকছে কোলাজ ভিডিও তৈরি করার সুবিধা
- ১০০+ অ্যাডভান্স ভিডিও ইফেক্ট
10. Magisto Video Editor
Magisto ভিডিও এডিটর একটি চমৎকার ফর্মাল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। অ্যাপটিতে এমন সব ফিচার রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে খুব দ্রুত ভিডিও এডিট করা সম্ভব।
Magisto অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি সমৃদ্ধ একটি অ্যাপ। এটি অটোমেটিক্যালি ভিডিও ক্লিপস, ফটো, মিউজিক, টেক্সট, ভিডিও ইফেক্ট এবং ভিডিও ফিল্টারগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম যা নিশ্চয়ই আপনার কাজকে আরো সহজ করে দিবে।
অ্যাপটিতে একটি অত্যাধুনিক এআইও আছে, এটি মূলত ভিডিও এনালাইজ করতে সাহায্য করে থাকে। একে ফিল্মোরা গোর আরেকটি বেস্ট অল্টারনেটিভ ভিডিও এডিটিং অ্যাপ বলা যেতে পারে। কিছু ইন-অ্যাপ-পারচেজের সাথে অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রি।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- থাকছে অনেকগুলো অ্যাডভান্স টুলস
- চমৎকার অটো এডিটিং ফিচার
- ডিরেক্টট সোশ্যাল শেয়ারিং সমর্থিত
11. Movie Maker Filmmaker
বর্তমানে Movie Maker Filmmaker যে সেরা ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি তাতে কোন সন্দেহ নেই।
অ্যাপটিতে বিভিন্ন ধরণের ভিডিও ইফেক্ট আছে এবং আপনি চাইলে নিজের কাস্টম ফিল্টার মনের মতো করে ডিজাইনও করতে পারবেন।
এটি ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করা অনেক সহজ। এটিতে প্রায় সব বেসিক ভিডিও এডিটিং ফিচার আছে। অ্যাপটি শর্ট ভিডিও তৈরি করার জন্য আদর্শ একটি অ্যাপ এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।
গুগল প্লে স্টোর হতে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে এতে অ্যাড ফ্রী ইউজার ইন্টারফেস না থাকায় আপনি বিরক্তিকর অ্যাড এর সম্মুখীন হতে পারেন।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- মিউজিক স্লাইডশো ফিচার সমর্থিত
- মোশন ট্র্যাক এবং টেক্সট অ্যানিমেশন ইফেক্ট সমর্থিত
- থাকছে কাস্টম ফিল্টার ডিজাইনের সুবিধা
12. WeVideo
WeVideo একটি ক্লাউড-বেইসড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ। এই অ্যাপটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হতে পারে, যদি আপনি প্রিমিয়াম সংস্করণের একটিতে আপগ্রেড করতে রাজি হন।
তবে এর ফ্রী ভার্সনে সব বেসিক ভিডিও এডিটিং ফিচারই রয়েছে। অ্যাপটির সাহায্যে আপনি ভিডিও ক্লিপগুলোকে ট্রিম করতে পারবেন, ফিল্টার যোগ করতে পারবেন, বিল্ট-ইন লাইব্রেরি থেকে মিউজিকও ব্যবহার করতে পারবেন।
গুগল প্লে স্টোর হতে এর ফ্রী ভার্সনটি ডাউনলোড করা যাবে। তবে ফ্রি ভার্সনে ভিডিও এডিট করার জন্য আপনি ১০ জিবির বেশি ক্লাউড স্টোরেজ পাবেন না। তাছাড়া ফ্রি ভার্সনে ওয়াটার মার্কের মতো কিছু লিমিটেশন রয়েছে।
স্পেশাল ফিচারঃ-
- বিল্ট-ইন মিউজিক লাইব্রেরি
- ক্লাউড-বেইসড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ
- থাকছে ভিডিও 4K রেজুলেশনে এক্সপোর্ট করার সুবিধা (যদিও প্রেমিয়াম ভার্সনে আপগ্রেড করার পর)
আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর কথা ভেবে থাকেন, তাহলে উপরে উল্লেখিত ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। আর হ্যা, পোস্টটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
No comments